Parallel শব্দের বাংলা অর্থে সমান্তরাল। একাধিক লোড বা রেজিস্টর প্রতিটিকে বৈদ্যুতিক সোর্সের আড়াআড়িতে/সমান্তরাল ভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাদিক পথ থাকে তাকেই Parallel circuit বলে।
বইয়ের ভাষায় বলতে গেলে “সে সকল সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহের দুই বা ততোদিক পথ থাকে সেই সকল সার্কিটকে Parallel circuit বলে”
“A parallel circuit is a closed circuit in which the current divides into two or more paths before recombining to complete the circuit”
Parallel Circuit বৈশিষ্ট্য
সিরিজ সার্কিটের ন্যায় প্যারালাল সার্কিটেরও বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
- প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি লোডের আড়াআড়িতে ভোল্টেজ, সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের সমান। অর্থাৎ Vtotal = V1 = V2 = V3 =………….. = Vn
- প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি লোডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের যোগফল, সার্কিটে প্রবাহিত মোট কারেন্টের সমান। অর্থাৎ Itotal = I1 + I2 + I3 +………….. + In
- প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি রেজিস্ট্যান্সের মান উল্টাইয়া যোগ করলে যোগফল সমতুল্য রেজিস্ট্যান্সের উল্টানো মানের সমান। অর্থাৎ 1 / Rtotal = 1 / R1 + 1 / R2 + 1 / R3 +…………..+ 1 / Rn
সিরিজ-প্যারালাল অংক করার জন্য কিছু নিয়ম
- শুরুতেই সার্কিটের শর্ট লাইন আছে কিনা বা রেজিস্ট্যান্স শর্ট আছে কিনা তা দেখতে হবে।
- সার্কিটের অভ্যন্তরিন রেজিস্ট্যান্স সমূহ মূল সার্কিটের সাথে সিরিজে হিসাব করতে হবে।
- সার্কিটের ভোল্টেজ সোর্স ও কারেন্ট সোর্স সঠিকভাবে সনাক্ত করে অংক করতে হবে।
- কোন সার্কিটকে জটিল মনে হলে সার্কিটিকে সহজভাবে এঁকে এরপর শুরু করতে হবে।
- এছাড়া উপরের সূত্রগুলোর প্রয়োগ হবে।